জলপরি ও কাঠুরে | দ্বিতীয় শ্রেণি বাংলা | Class 2 Bangla
পেজ------ ২৪
জলপরি ও কাঠুরে
এক বনে বাস করত এক গরিব কাঠুরে। কাঠ বেচে তার সংসার চলত।
একদিন কাঠুরে নদীর ধারে কাঠ কাটছিল। হঠাৎ কুড়ালটি পড়ে গেল নদীতে। নদীতে ছিল অনেক স্রোত ও কুমিরের ভয়। ভয়ে সে নদীতে নামতে পারল না। কুড়াল কেনার টাকাও ছিল না। তাই মনের দুঃখে সে কাঁদতে লাগল।
দ্বিতীয় শ্রেণি বাংলা |
এভাবে কিছুক্ষণ কেটে গেল। হঠাৎ নদী থেকে উঠে এলো এক জলপরি। সে কাঠুরেকে বলল, তুমি কাঁদছ কেন? কাঠুরে বলল, আমার কুড়ালটি নদীতে পড়ে গেছে। জলপরি বলল, তুমি কেঁদো না, আমি দেখছি।
জলপরি নদীতে ডুব দিল। একটু পরে উঠে এলো। হাতে একটা সোনার কুড়াল। বলল, এটা কি তোমার কুড়াল? কাঠুরিয়া ভালো করে দেখে বলল, না। এটা আমার না।
দ্বিতীয় শ্রেণি বাংলা |
পেজ ---- ২৫
জলপরি আবার পানিতে ডুব দিল। নিয়ে এলো রুপার কুড়াল। বলল, এটা কি তোমার?
কাঠুরিয়া দেখে বলল, এটাও আমার না। জলপরি আবার ডুব দিল। এবার লোহার কুড়াল নিয়ে এলো। কাঠুরেকে বলল, এটা কি তোমার? কাঠুরে হেসে বলল, হ্যাঁ। এটাই আমার কুড়াল।
কাঠুরের সততা দেখে জলপরি খুশি হলো। সে তাকে লোহার কুড়ালটা দিল। আর উপহার হিসেবে দিল সোনা ও রুপোর কুড়াল। তারপর সে পানিতে মিলিয়ে গেল।
দ্বিতীয় শ্রেণি বাংলা |
সোনা ও রুপোর কুড়াল বেচে কাঠুরে অনেক টাকা পেল। তার দিন কাটতে লাগল সুখে।
এ ঘটনা শুনে এক লোভী কাঠুরে এলো নদীর ধারে। কাঠ কাটতে লাগলো। ইচ্ছে করেই কুড়ালটি ফেলে দিল নদীতে। তারপর মিছিমিছি কাঁপতে লাগল।
এবারও উঠে এলো জলপরি। সব শুনে নিয়ে এলো সোনার কুড়াল। বলল, এটা কি তোমার? কাঠুরে বলল, হ্যাঁ এটাই আমার কুড়াল। শুনে জলপরি খুব রাগ হলো। টুপ করে নদীতে ডুব দিল। আর এলো না।
সন্ধ্যা নামল। লোভী কাঠুরে অনেকক্ষণ বসে থাকল। মনের দুঃখে বলল, লোভ করে নিজের কুড়ালটাও হারালাম।
'জলপরি ও কাঠুরে' গল্পটির শব্দের অর্থ, শূণ্যস্থানপূরণ, যুক্তবর্ণ, মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি সহ ৪, ৬, ৭ সমাধান পেতে নিচে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন